করোনা আক্রান্তদের মুখে খাবার তুলে দিতে মেয়েকে নিয়ে দম্পতির প্রয়াস

12th May 2021 10:15 pm হুগলী
করোনা আক্রান্তদের মুখে খাবার তুলে দিতে মেয়েকে নিয়ে দম্পতির প্রয়াস


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : করোনা আক্রান্ত মানুষের মুখে দুবেলা খাবার তুলে দিতে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে স্বামী-স্ত্রী মানুষের জন্য লড়াই করে যাচ্ছেন।  দিনরাত এক করে হুগলীর হিন্দমোটর সুকান্ত নগরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ চক্রবর্তী, লক্ষীপ্রিয়া চক্রবর্তী ও তাঁদের একমাত্র মেয়ে নেহা চক্রবর্তী।  করোনা আক্রান্ত ও তাদের পরিবারকে বিনামূল্যে দুপুরের ও রাতের খাবার তুলে দিচ্ছেন। পেশায় ব্যাবসায়ী বিশ্বজিত বাবু করোনা আক্রান্ত রোগী সহ তাঁদের পরিবারকে বাঁচানোর লক্ষ্যো।  তাঁদের এই উদ্যোগকে কুর্নিশ জানিয়েছে এলাকার মানুষজন। সকাল হতেই ব্যাগ হাতে মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে বাজার করা। বাড়িতে এসে স্ত্রীর সাথে হাতে হাত মিলিয়ে রান্না করা। এরপর সেই রান্না করা সামগ্রীকে প্যাকেটজাত করে বাইক চালিয়ে আক্রান্তদের বাড়ি বাড়ি পৌঁচ্ছে দেওয়া সবই করছে হিন্দমোটরের চক্রবর্তী পরিবার। করোনোর দ্বিতীয় ঢেউয়ে তার নিজের ছয় বন্ধুকে হারিয়েছেন বিশ্বজিত বাবু। মনে একরাশ দু:খ নিয়ে অন্যদের বাঁচানোর লক্ষ্য নিয়ে আক্রান্তদের দুবেলা অন্ন তুলে দিতে এই সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী। ফেসবুকে ও পরিচিতদের what's app. এ নিজেদের এই উদ্যোগকে ফোন নং লিখে প্রচার শুরু করেন এই দম্পতি। প্রতিদিন দুপুরের মেনুতে রয়েছে ভাত, পাতিলেবু, স্যালাড, উচ্ছে, আলু ভাজা, মুসুরডাল, সবজি, মাছ অথবা ডিম। তবে সপ্তাহের শনিবার রয়েছে পনির ও রবিবার রয়েছে মুরগির মাংস। বর্তমানে হিন্দমোটর ছাড়িয়ে উত্তরপাড়া এলাকায় আক্রান্তদের বাড়িতে পৌঁচ্ছে যাচ্ছে দিন রাতের খাবার। এই পর্ষন্ত ২০ টি করোনা আক্রান্ত পরিবার, চক্রবর্তী দম্পতিদের হাতে তৈরি রান্না করা বিনামূল্যে খাবার খেয়ে বেঁচে রয়েছেন তারা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।